গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে যে কাগুজে লকডাউন চলছে, তার মেয়াদ আরো একবার বাড়ানো হলো। নতুন প্রজ্ঞাপনে এই লকডাউনের মেয়াদ ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে দুরপাল্লার গাড়ী চলবে, লঞ্চ, বাস ট্রেন সহ সব গণপরিবহন চলবে। হোটেল রেস্তোরায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা যাবে। সরকারী-বেসরকারী অফিস খুলেছে বহু আগেই।
বাজার-হাট, দোকানপাট, শপিংমলে মানুষ গিজগিজ করে। মসজিদে-মন্দিরে প্রার্থনা উপাসনাও অব্যাহত আছে। তাই এ অদ্ভুত প্রজ্ঞাপনে আসলে কি বন্ধ তা খুজে বের করাই গবেষণার বিষয়।
পাঠকদের জন্য আমরা তুলে ধরছি লকডাউনে কি কি বন্ধ থাকবে:
১. সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় বাংলাদেশ রেকর্ড করেছে।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের আবাসিক হল গুলো বন্ধ থাকবে (তবে শিক্ষার্থীরা মেসে থাকতে পারবেন)।
৩. কক্সবাজার, কুয়াকাটার মত পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে।
৪. যেসব দেশ বাংলাদেশীদের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে যেমন: সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি, সেই সব দেশে যাওয়া লকডাউনের আওতায় আসবে।
৫. রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ বন্ধ থাকবে (তবে মানববন্ধন, প্রেস ক্লাবে টকশোর আদলে আলোচনা সভা অব্যাহত থাকবে)।
৬. বিয়ের বাহারী অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কমিউনিটি সেন্টার সহ বিভিন্ন বিয়ে স্পট বন্ধ থাকবে।
৭. পিকনিক স্পট বন্ধ থাকবে।
৮. ওয়াজ-মাহফিল সহ ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ থাকবে।
৯. বিসিএস সহ বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
১০. টিকা প্রদান কর্মসূচী স্থগিত থাকবে (টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে)।