ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নাগরিকদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় টিকা সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কথা জানান তিনি। এ অবস্থায় সরকার বিকল্প সোর্স থেকে এক কোটি টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শুরু হওয়া এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সম্প্রচার করে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাষণ সম্প্রচারিত হয়।
ভাষণের একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী টিকা কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। সবচেয়ে কার্যকর এবং পরীক্ষিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েই সরকার গণটিকাকরণ কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে দেশবাসীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনেছেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ টিকা রফতানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায়, আমরা বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। রাশিয়া এবং চীনের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। উপহার হিসেবে চীনের কাছ থেকে টিকা ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। আমেরিকার কাছেও অনুরোধ জানিয়েছি।
বিশ্ব টিকাকরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের কাছ থেকেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টিকা পাবে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা এক কোটি টিকা ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছি।
খুব শিগগিরই দেশে টিকা আসতে শুরু করবে। তাছাড়া, দেশেই যাতে টিকা উৎপাদন করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। নিজেদের টিকা তৈরিতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আমরা দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো, ইনশাআল্লাহ।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের অনুরোধ করেন।