লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের উত্তর মকরধ্বজ গ্রামে সরকারী খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে এক প্রভাবশালী মহল। ইতোমধ্যে খালের উপর বেশ কয়েটি পিলার ঢালাই দেওয়া হয়েছে।
খালটি বেদখল হলে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল ব্যহত হবে বলে জানায় এলাকাবাসী। একই এলাকার আনোয়ারুল হকের পুত্র মো: মহিব উল্যা ও তার পুত্র মাহমুদুল হাসান ওই দখল কাজে সরাসরি জড়িত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
এ দিকে খাল দখল করায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকার লোকজন জানায়, উত্তর মকরধ্বজ গ্রামের কালাইতপুর এলাকার আহম্মদ আলী পাটওয়ারী বাড়ির আনোয়ারুল হকের ছেলে মহিব উল্যা ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান তাদের বাড়ির পাশে সরকারী রেকডীয় খাল দখল করে খালের দু’পাশে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণের উদ্দেশ্যে পিলার ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। খালটি ২৯ নং মকরধ্বজ মৌজার ২৯৩৩ নং দাগে অবস্থিত।
খাল দিয়ে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার পানি নিষ্কাষণ হয়। কিন্তু খালটি বেদখল হয়ে পড়ায় পানি চলাচলে ব্যাহত হবে এবং কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাবে। খালটি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহিব উল্যা ও তার পুত্র মাহমুদুল হাসান তাদের বাড়ির সামনে থাকা খালের অংশ পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানান, পিতা-পুত্র প্রভাবখাটিয়ে ওই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া সম্প্রতি গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দখলদাররা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ ওই সরকারী খাল লীজ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও খাল লীজ নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের কোন নিয়ম নেই।
খাল দখলের বিষয়ে অভিযোগের ব্যাপারে মাহমুদুল হাসান বলেন, খালের উপর কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণের জন্য আমরা পিলার ঢালাই দিইনি। আমাদের বাড়িতে যাতায়াতের সুবিধার্থে খালের উপর একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণের লক্ষ্যে পিলাই ঢালাই দেওয়া হয়েছে বলে তার দাবী।
পার্বতীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, পিতা-পুত্র মিলে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি এবং ভূমি কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।
পাবর্তীনগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সিরাজী বলেন, এ বিষয়ে ঘটনারস্থলে গিয়ে দেখে আইনী ব্যবস্থা প্রহন করার জন্য আমার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে এ রির্পোট লিখার সময় সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।