অটিজমকে জয় করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনায় যুক্ত হওয়া স্টিফেন মার্ক শোরের আত্মজীবনীমূলক বই বিয়োন্ড দ্য ওয়ালের বাংলা অনুবাদ নিয়ে এসেছে সূচনা ফাউন্ডেশন।
ওয়ার্ল্ড অটিজম অ্যাওয়ারনেস ডে-২০২১ উপলক্ষে ‘প্রাচীর পেরিয়ে’ শিরোনামের বইটি প্রকাশের ঘোষণা দেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ।
বইটি কোথা থেকে কীভাবে সংগ্রহ করা যাবে সে বিষয়ে অচিরেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ফাউন্ডেশনের এক ফেইসবুক বার্তায় বলা হয়।
স্টিফেন মার্ক শোর যুক্তরাষ্ট্রের এডেলফি ইউনিভার্সিটির স্পেশাল এডুকেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। অটিজম ও অ্যাসপারগার সিনড্রোমের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং নিজের সাফল্য নিয়ে তিনি বইটি লিখেছেন।
এক ভিডিও বার্তায় সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, “আজকে ওয়ার্ল্ড অটিজম অ্যাওয়ারনেস ডের জন্য সূচনা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা নতুন একটা বই বের করেছি।
বইটির নাম হচ্ছে প্রাচীর পেরিয়ে, এটা অনুবাদ করা হয়েছে। ডক্টর স্টিফেন মার্ক শোরের আত্মজীবনীকে নিয়ে এটা অনুবাদ করা হয়েছে।
“আশা করি, আপনারা সবাই এটা পড়বেন। একজন অটিস্টিক মানুষ হিসাবে অধ্যাপক স্টিফেনের জীবনটা কেমন গেল, কিভাবে উনি এতোদূর এসেছেন এই বইতে বিষয়গুলোর উল্লেখ আছে।”
প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের অটিজম আক্রান্ত মানুষের অধিকার ও তাদেরকে মূলধারায় সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ন্যাশনাল এডভাইজারি কমিটি ফর অটিজম অ্যান্ড এনডিডিজ এর চেয়ারপার্সন তিনি।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মেনটাল হেলথ অ্যান্ড অটিজম বিষয়ক মহাপরিচালকের উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করছেন তিনি। এছাড়া শারিরীক ও মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত শিশুদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও জাতীয় কমিটিতে কাজ করছেন সায়মা।
এক বার্তায় স্টিফেন বলেন, “অটিজমে আক্রান্ত হওয়া একটি মানুষের শৈশব থেকে শুরু জীবনের বিভিন্ন ধাপগুলো কেমন কাটে স্পেশাল এডুকেশনের একজন অধ্যাপক হিসাবে আমি সেই বিষয়টি বলার চেষ্টা করেছি এই আত্মজীবনীতে।
পাশাপাশি আমার ও আমার পিতামাতার সাফল্যের গল্প, অটিস্টিক শিশুদের পড়াশোনার কৌশল রয়েছে এই বইতে।”
সুচনা ফাউন্ডেশন হচ্ছে একটি অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যারা নিওরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা, পরামর্শ ও সক্ষমতা উন্নয়নসহ আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষক, নীতিনির্ধারক, সেবাদাতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির কাজও করছে প্রতিষ্ঠানটি।