দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ: ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমি বাংলাদেশের জাতীয় অনুষ্ঠানে ভারতের ১৩০ কোটি ভাই-বোনের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি।
আপনাদের সবাইকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সুধি সমাবেশে বক্তব্যদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টা ২১ মিনিটে নরেন্দ্র মোদিকে বহন করা হেলিকপ্টার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পরিষদ মাঠের হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।
পরে তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সকাল ১১টা ৩৯ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন।এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ পরিদর্শনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য বইতে মন্তব্য লেখে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র ছেলে ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ি পরিদর্শন করবেন।
সেখানে তিনি হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ মন্দিরে পূজা অর্চনা করে ঠাকুর বাড়ির সদস্য ও নির্ধারিত মতুয়া নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া ও ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ি সাজানো হয় নবরুপে। তাদের আগমনে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা থেকে ১১ টা ২১ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া হ্যালিপাডে পৌঁছান।