এলিফ্যান্ট রোড, তেজগাঁও ও নিউ মার্কেটসহ ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলকে শহরের সবচেয়ে দূষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ঢাকা শহরের ৭০টি স্থানে বায়ু দূষণের মাত্রা’ শীর্ষক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলিফ্যান্ট রোড, নিউ মার্কেটের প্রধান ফটক ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ঢাকার সবচেয়ে দুষিত অঞ্চল। অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের তাজ মহল রোড, আগারগাঁও শিশু হাসপাতাল ও মিরপুরপল্লবীর ডি-ব্লককে ঢাকা শহরের সবচেয়ে কম দূষিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শহরের বায়ু দূষণের ৬৫ শতাংশই এসময় হয়। রাস্তায় ও গাছে পানি ছিটিয়ে বায়ু দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা জরুরি,”
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ঢাকা শহরে বায়ু দূষণ ১২ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
“শহরের প্রতি বর্গ মিটারে ৩৩৫ মাইক্রোগ্রাম দূষিত বস্তুকণা পাওয়া গেছে। যেখানে সাধারণ পরিমাণ ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। শহরে দূষিত বস্তুকণার পরিমাণ ৫ দশমিক ২ গুণ বেশি উঠেছে এসেছে,” বলা হয় প্রতিবেদনটিতে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, ঢাকার বাতাসে ফাইন পার্টিকেলের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি (২.৫)।
যানবাহন ও কারখানার কাজে গ্যাস ও জীবাশ্ম জ্বালানি দহনই ঢাকার বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। তবে, নির্মাণকাজের ধূলিকণাও রাজধানীর বাতাসকে দূষিত করে তুলছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বায়ু দূষণের উৎস:
- নির্মাণকাজে ৩০ শতাংশ, এর আগে এ হার ছিল ১৬ শতাংশ
- ইট ভাঙ্গায় ২৯ শতাংশ, এর আগে এ হার ছিল ৫৮ শতাংশ
- যানবাহন সৃষ্ট ১৫ শতাংশ, এর আগে এ হার ছিল ১০ শতাংশ
- ট্রান্স বাউন্ডারির প্রভাব ১০ শতাংশ
- গৃহস্থালি কাজে ৯ শতাংশ
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে ৮ শতাংশ