আধা কাপ কাঁচা মরিচে থাকে ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৫ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রাম ফাইবার ও .১৫ গ্রাম ফ্যাট। রয়েছে ভিটামিন এ, সি, আয়রন ও পটাশিয়ামের মতো উপকারী উপাদান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল-মসলার খাবার যতই কোলেস্টেরল বাড়াক না কেন, কাঁচা মরিচ তার ওপর ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এছাড়া ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল, ধমনিতে ফ্যাট জমা, স্ট্রোকের প্রবণতা কমানোতে মরিচের রয়েছে ভূমিকা।
প্রস্ট্রেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় কাঁচা মরিচ। এতে রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, যা আমাদের শরীরের ফ্রি র্যাডিকাল থেকে নিরাপত্তা দেয়। ফলে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি।
প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে কাঁচা মরিচ। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত খান এটি। মরিচে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা ঠেকাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি ত্বক ও চোখের জন্য উপকারী। এছাড়া কাঁচা মরিচ হজম শক্তি বাড়ায় ও প্রচুর ডায়টারি ফাইবারের জোগান দিয়ে অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তোলে।। মরিচে রয়েছে ‘ক্যাপসাইসিন’ আর ‘ডিহাইড্রোক্যাপসাইসিন’।
এরা একসাথে পুরো কাজটি সম্পন্ন করে। এদের এক সাথে বলে ‘ক্যাপসাইসিনোড’। এই ‘ক্যাপসাইসিন’ আমাদের নাকের মিউকাস মেমব্রেনকে সতেজ করে তোলে, রক্ত চলাচল বাড়ায় ফলে সর্দি, মাথাব্যথা, সাইনাসের প্রকোপ অনেক কম হয়।
তবে অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খাওয়া ঠিক নয়। এতে পাকস্থলিতে প্রদাহ এবং ইরিটেবল বাওয়াল সিন্ড্রোম হতে পারে।
তথ্য: হেলথ লাইন