রাঙামাটি প্রতিনিধি: ২০০১ সালে রাঙামাটিতে বোমা বিস্ফোরনের ঘটনার মূলহোতা জেএমবি কয়েদী গালিবকে ১০ বছরের সশ্রম দন্ডাদেশ প্রদান করেছে রাঙামাটির আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত এই জেএমবি জঙ্গি ইতিমধ্যেই গত ১৫ বছর ৬ মাসের মতো জেল হাজতেই অন্তরীণ রয়েছেন। সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার সময় পুলিশী পাহারায় আসামী মোঃ শামীম হোসেন গালিব আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলো।
বিগত ২০০১ সালে সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটি শহরের হোটেল ড্রীমল্যান্ডে জেএমবি কর্তৃক বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় জেএমবি সদস্য গালিবকে প্রদান আসামী করে রাঙামাটিতে বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।
সোমবার রাঙামাটির বিচারক বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাইফুল এলাহি’র আদালত আসামীর বিরুদ্ধে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেছেন নিশ্চিত করে সরকারী পিপি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০০১ সালে সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটি শহরেও বিস্ফোরনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় একমাত্র আসামী গালিবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদানের রায় ঘোষণা করেন।
অপরদিকে রাঙামাটি বারের সিনিয়র আইনজীবি এ্যাডভোকেট মোখতার আহাম্মেদ জানিয়েছেন, ২০০১ সালে রাঙামাটি শহরের হোটেল ড্রীমল্যান্ডে বিস্ফোরনের মামলায় গালীব একমাত্র আসামী ছিলেন।
আসামী গালিব ইতিমধ্যেই ১৫ বছর ৬ মাসের মতো জেলেই কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই মামলায় প্রথম দিকে দায়িত্বপালনকারি এডভোকেট মোখতার আহাম্মেদ।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী জেএমবি কয়েদী নং-৬৬০৭/এ মোঃ শামীম হোসেন গালিব, সাইফুল ইসলাম ওরফে গালিব, পিতা-মোঃ তমিজ উদ্দিন, সাং-ইটাগাছা, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরা।
নজীরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে আসামীকে সোমবার বেলা ১১টায় আদালতে হাজির করা হয়। দুপুরে রায় ঘোষণার পরপরই তাকে রাঙামাটির আদালত চত্ত্বর থেকে আবারো সামনে পেছনে পুলিশী স্কট দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।