22 C
Dhaka
Tuesday, December 3, 2024

৫০ বছরেও জাতির পিতা-স্বাধীনতার ঘোষক দ্বন্দ্বের সুরাহা করতে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: ক্ষমতাসীনদের মধ্যে সবসময় একটি মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়। যা হলো অতীতে দেশ পরিচালনায় ছিলেন, সে সব পূর্বের সরকার সমূহ কিছুই করেনি তার শুধু দুর্নীতি-চুরি-লুটপাট করেছে।

এ দোষারোপের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দীর্ঘ ৫০ বছরেও আমাদের জাতির পিতাকে বা স্বাধীনতার ঘোষককে ছিলেন এই দ্বন্দ্বের সুরাহা করতে কেউ কেউ বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন।

এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে জাতির মৌলিক বিষয়গুলো নির্ধারণ করা আবশ্যক। তা না হলে নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে ভোগে।

শিক্ষকদের প্রতি এই মহান দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে তা অবশ্যই ঈমানের সঙ্গে পালন করতে হবে। স্বাধীনতার ৫০বছরে অনেক সমস্যার যেমন সমাধান হয়নি তেমনি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বহু সমস্যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি। এরমধ্যে একটি হচ্ছে শিক্ষা।

পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। দেশে এখন একতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণে সক্ষম হয়েছি। আমরা সময়ের দাবি অনুযায়ী অনেক উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করছি। গ্রামীণ পর্যায়ে উন্নয়ন কাজও গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে।

এক সময় ঢাকাকে তিলোত্তমা নগর হিসাবে গড়ে তোলার একটি ঝোঁক ছিল অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। সেখানে একটি প্রকল্পে যে অর্থ ব্যয় হতো তা দিয়ে ঢাকার বাইরে অনেক গুলো প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল। আজকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রামীণ প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আজকে ইন্দুরকানীবাসীর জন্য একটি আনন্দের দিন। অবকাঠামোগত সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এ উপজেলার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী ভর্তিসহ অন্তঃবিভাগের চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা সক্ষম ছিলাম না। এর পেছনে নানা জটিলতা বিদ্যমান ছিল বলে এ এলাকার মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল।

এখন থেকে এই চিকিৎসা সুবিধার জন্য জেলা বা বিভাগীয় শহরে যেতে হবে না। এভাবেই আমরা পশ্চাৎপদ এই গ্রামীণ এলাকার মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ন্যায্য পাওনা আদায় করবো।

পল্লী অঞ্চলের মানুষকে তাদের কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা প্রদানে হাসপাতালে নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আন্তরিক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তঃবিভাগ সেবা এবং সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য আর.ও (রিভার অসমোসিত) প্লান্ট ব্যবস্থা চালু হলো। যা লোনা পানি ও ডায়রিয়া প্রবণ উপজেলা ইন্দুরকানীর জন্য একটি বিরাট সাফল্য। ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্যদিয়ে আমরা এই সেবাকে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবো।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই ইন্দুরকানী উপজেলার মতো একটি পশ্চাৎপদ নতুন উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে আমারা চালু করতে সক্ষম হয়েছি। এটা আল্লাহ রহমত।

আমাদের জনসংখ্যাধিক্য দেশে ইচ্ছা করলেই সকল কাঙ্ক্ষিত কাজ করা সম্ভব হয় না। এত লোকের চাপ সামলানো দায়িত্বপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

আজকের চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিক হওয়ায় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। চিকিৎসকদের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দেখে পরামর্শ দিতে হয়। এর জন্য রোগীদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।

আন্দোলন ও সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় ধৈর্য হারিয়ে যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখিয়ে স্বাস্থ্য সেবা চাওয়া অনুচিত। আমাদের স্বাধীনতার মূল্য অনুধাবন করতে হবে।

আজকের বিশ্বের যে অবস্থা তা উপলব্ধি করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশী দক্ষতা-যোগ্যতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন।

জাতীয় পার্টি-জেপি’র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি বলেছেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম খাত স্বাস্থ্য সেবাকে তৃণমূলের বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছাতে রাষ্ট্রের উদ্যোগ সমূহকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে।

স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা আবশ্যক। করোনা মহামারিকালে সর্বক্ষেত্রে কাজের সমন্বয় সাধনে সরকার সফল হয়েছে বলে এই মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে আমরা বহুলাংশে রক্ষা পেয়েছি। যা জাতির জন্য একটি মহান দৃষ্টান্ত।’   

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর