ইঅরেঞ্জ, গ্রিনবাংলা ই-কমার্স লিমিটেড, এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড অ্যাগ্রো ফুড অ্যান্ড কনজ্যুমার লিমিটেড ও টুয়েন্টিফোর টিকেটি ডট কমের সদস্যপদ স্থগিত করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে ই-ক্যাব উল্লেখ করেছে, ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে কয়েকটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ই-ক্যাব অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
ভোক্তা ও বিক্রেতাদের অভিযোগের কারণে ই-ক্যাব ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে।
এরমধ্যে অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া, অথবা সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ার কারণে ৪টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানায় ই-ক্যাব।
বিজ্ঞপ্তিতে ই-ক্যাব উল্লেখ করেছে, ভোক্তা ও বিক্রেতাদের অভিযোগের কারণে ই-ক্যাব ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। এরমধ্যে অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া, অথবা সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ার কারণে ৪টি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো হলো— অর্থ আত্মসাৎ, ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি না করা, ই-ক্যাবের কারণ দর্শানো ও সতর্কিকরণ চিঠির জবাব না দেওয়া, ই-ক্যাবের পাঠানো অভিযোগের সমাধান না করা, ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ২০২১ প্রতিপালন না করা ও এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করা।
ই-ক্যাব বলছে, ভোক্তা ও বিক্রেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ই-ক্যাব ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কেউ কেউ অভিযোগ নিষ্পত্তি ও ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ মেনে চলার প্রতিশ্রুতিসহ সময় প্রার্থনা করেছে। তাই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষণে রেখে অধিকতর তদন্ত চলছে। সন্তোষজনক সমাধান না হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে একই ধরনের গৃহীত হতে পারে।
ই-ক্যাব জানায়, ইতোমধ্যে সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানকে সঠিক নিয়মে ব্যবসা পরিচালনা ও ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতের সুনাম রক্ষা করার অনুরোধ করে বার্তা প্রেরণ করেছে।
বিশেষ করে অস্বাভাবিক অফার বন্ধ করা, সময়মতো পণ্য ডেলিভারী করা, ব্যাংক ডিপোজিটের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা, ‘‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’’ প্রতিপালন করা, দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলা, ভোক্তা অধিকারে আসা অভিযোগসমূহ দ্রুত সমাধান করা ও ই-ক্যাবের অভিযোগসমূহ সমাধান করে তার প্রতিবেদন পেশ করার জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।