ব্যক্তিগত রেকর্ড নয়, বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান সাকিব আল হাসান। আর সেটা আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপেই।
সাকিব আল হাসান; বাংলাদেশ দলের প্রাণ ভোমরা। তার বড় পরিচয় তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের একজন। কেন তিনি বিশ্বসেরা, বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাটে-বলে তার প্রমাণ দিয়েছে আসছেন সাকিব।
সবচেয়ে বড় প্রমাণ দিয়েছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। ব্যাটে-বলে অতি মানবীয় পারফরম্যান্স করে ক্রিকেট দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৬০৬ রান করেন সাকিব। যা ছিল আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ। বল হাতে স্পিন ভেল্কি দেখিয়ে নেন ১১ উইকেট।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে একই আসরে ৫০০ রান ও ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েও অবশ্য হতাশার সাগরে হাবুডুবু খেতে হয় সাকিবকে।
অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করেও দলকে শেষ চারে তুলতে পারেননি তিনি। দলের অন্যরা নিষ্প্রভ থেকে যাওয়ায় ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ওয়ানডের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
কিন্তু ব্যক্তিগত রেকর্ড নয়, দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে চান সাকিব। আর সেটা আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপেই। ভারতে অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপে সেটা সম্ভব না হলে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি।
দারাজ- এর ফেসবুক লাইভে এমনই জানিয়েছেন সাকিব। তার বিশ্বাস, ২০২৩ সালেই বিশ্বকাপ জিতবে বাংলাদেশ। আর সেটা তার কারণেই।
সাকিবের মতে, ২০২৩ সালের আসরটি তার শেষ বিশ্বকাপ বলেই বাংলাদেশ শিরোপা জিতবে। না জিতলেও হাল ছাড়বেন না তিনি, চেষ্টা করবেন পরের আসরে।
বাংলাদেশ কত সালে বিশ্বকাপ জিতবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘২০২৩ সালে।’ কেন জিতবে জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন ‘আমার শেষ বিশ্বকাপ তাই। না জিতলে ২০২৭ পর্যন্ত খেলব।’
বিশ্বকাপ জিতিয়েই অবসরে যাবেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলে ওঠেন, ‘ইনশা আল্লাহ।’
অবসরের প্রসঙ্গ উঠলেও সাকিব জানিয়েছেন, আপাতত অবসর নিয়ে তার কোনো ভাবনা নেই। যতদিন ভালো লাগে, ততদিন ক্রিকেট খেলে যেতে চান তিনি, ‘অবসর নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। সবকিছু খোলা থাকছে।
যখন মনে হবে খেলাটা আর উপভোগ করছি না, তখনই অবসর। আর যতদিন মনে হবে উপভোগ করছি, ততদিন খেলব।’