28 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস-ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এই পরাজিত শক্তি: প্রধানমন্ত্রী

চাকুরির খবর

বিডিনিউজ ডেস্ক: ৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদী চক্রের রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।

ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জন্ম দেয়। সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেয়।

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এই পরাজিত শক্তি। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে দেশব্যাপী আগুন-সন্ত্রাস চালায়, মানুষ খুন করে এবং পরিকল্পিত নাশকতা চালায়। এখনও নানাভাবে তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছে। বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।

এসব রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে। দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে। এই কুখ্যাত মানবতা বিরোধীদের যারা রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে, ইনশাল্লাহ।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর