28 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

১৯৯৭ সালে জাপান সফরে পদ্মা-রুপসা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করি: প্রধানমন্ত্রী

চাকুরির খবর

অনলাইন ডেস্ক: ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমি ১৯৯৭ সালে জাপান সফর করি। পদ্মা নদী এবং রুপসা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করি। জাপান সরকার দু’টি নদীর উপরই সেতু নির্মাণে রাজি হয়।

যেহেতু পদ্মা অনেক খরস্রোতা, বিশাল নদী, তাই পদ্মা নদীর উপর সেতু সমীক্ষা শুরু করে। আর রূপসা নদীর উপর আমার অনুরোধে পূর্বেই নির্মাণ কাজ শুরু করে।

পদ্মা সেতু আমাদের অহঙ্কার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রমত্তা পদ্মা নদী দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

দক্ষিণাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষেরাই জানেন, কী ঝুঁকি নিয়ে আর কত কষ্ট এবং সময় ব্যয় করে রাজধানীতে পৌঁছতে হয়। তাদের কষ্ট লাঘবে আগামী ২৫ জুন শনিবার বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে।

২০০১ সালে পদ্মার নদীর উপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষার তথ্য আমাদের দেয়। জাপানের সমীক্ষায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন করা হয়।

এই সমীক্ষার ভিত্তিতে ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে আমি মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আমরা সরকারে আসতে পারিনি।

ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামাত জোট সরকার মাওয়া প্রান্তে সেতু নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং জাপান সরকারকে পুনরায় মানিকগঞ্জের আরিচা প্রান্তে পদ্মা সেতুর জন্য সমীক্ষা করতে বলে। দ্বিতীয়বার সমীক্ষার পর জাপান মাওয়া প্রান্তকেই নির্দিষ্ট করে পদ্মা সেতু নির্মাণের রিপোর্ট পেশ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আমরা আবার সরকারের দায়িত্বে এসে পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করি।

সরকারের দায়িত্ব নেয়ার ২২ দিনের মাথায় পদ্মা সেতুর পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির জন্য নিউজিল্যান্ডভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘মনসেল এইকম’কে নিয়োগ দেয়া হয়। শুরুতে সেতু প্রকল্পে রেল চলাচলের সুবিধা ছিল না। আমি রেল সুবিধা যুক্ত করে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের নির্দেশ দেই।

২০১০ সালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত হয়ে যায়। পরের বছর জানুয়ারিতে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল।

শুরুতে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক পাঁচ-আট কিলোমিটার। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর