ঢাকা: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক শহীদ উদ্যানে আজ অনুষ্ঠিত হলো হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক বিশাল মহাসমাবেশ। লাখো ধর্মপ্রাণ জনতার উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল রূপ নেয় ঈমানী চেতনার মহাস্রোতে। সমাবেশে বক্তারা স্মরণ করেন শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত সংগঠনের পথচলায় আত্মদানকারী “বীর শহীদদের”।
সমাবেশে এক আবেগঘন বক্তব্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমরা সেই সব শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, যাঁরা ইসলামি আকিদা ও দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছেন। সেই রক্তাক্ত পথ পেরিয়েই আমরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজ আমরা সেই স্বাধীন বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে শপথ করছি-রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব ইনশাআল্লাহ।”
বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নবযুগের সূচনা’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাঁদের ভাষায়, এটি ছিল “নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির দিন”, যা জাতিকে “ধর্মহীনতা, নৈতিক সঙ্কট ও বিকৃত সংস্কৃতি” থেকে মুক্ত করেছে।
সমাবেশে বারবার উঠে আসে আত্মত্যাগের কথা। বক্তারা বলেন, “স্বাধীনতা শুধু একটি রাজনৈতিক ধারণা নয়, এটি একটি আত্মিক ও নৈতিক চেতনা। হেফাজতে ইসলাম সেই চেতনার ধারক ও বাহক হয়ে দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত।”
তাঁরা আরও বলেন, “আমরা আজকের এই জমায়েতে ঘোষণা করছি-ইসলাম, ঈমান ও দেশের প্রতি কোনো আঘাত বরদাস্ত করা হবে না। যারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে, তারা এদেশের শত্রু।”