অনলাইন ডেস্ক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি, জানিয়ে আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংযোজন করে দিয়ে গেছেন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা, যেটা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই।
বঙ্গবন্ধু এটা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন করবেন না, যাতে বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়। আমরা সেটা করিনি।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর বলার উদ্দেশ্য হলো-স্বেচ্ছায় কোনো সংবাদকর্মী চাইলে অবসরে যেতে পারবেন, তবে কোনো মালিক বাধ্য করতে পারবেন না।
এ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে আরও পরিষ্কার করে তথ্য সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সমস্যা হলো- সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করতে হবে।
অনেক অপরাধ আছে, যেগুলো আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। সেটার বিচার করা হবে কীভাবে? সেজন্য তো একটা আইন করতে হবে।
আমরা সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসেছি এবং বলেছি, আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যারেস্ট করা হতো।
এখন এই আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে যাতে কাউকে অ্যারেস্ট না করা হয়।