22 C
Dhaka
Saturday, November 23, 2024

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

চাকুরির খবর

বিডিনিউজ ডেস্ক: আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

১৯৭২-এর এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। পূর্ণতা পায় বাঙালির বিজয়।

মহান এই নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। বিশ্বজুড়ে জাতি পরিচিতি পায় বীর বাঙালি হিসেবে। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যায়।

বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। 

২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে কাটানোর পর লন্ডন-দিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি। এরপর থেকে প্রতিবছর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানান আয়োজনে পালন করে আসছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। 

বঙ্গবন্ধু হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। সেদিন বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা ছিলো লোকে লোকারণ্য।

স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পরিচালিত নির্মম গণহত্যার সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 

সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাবো।’ কথা রেখেছেন জাতির পিতা।

দিবসটি উপলক্ষে এবার ‘মুক্ত স্বদেশে জাতির পিতা’ প্রতিপাদ্যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

এদিন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনের শহীদ মনিরুল আলম মিলনায়তন থেকে সব টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে বাবা ও মাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা’র লেখা কবিতা আবৃত্তি করার কথা রয়েছে।

আলোচনা পর্বে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সম্পর্কে আলোচনা করবেন বিশিষ্ট আলোচকরা। দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকছে বিশ্বখ্যাত অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলা গান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় মহানয়কের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।

পরিবর্তিত করোনা পরিস্থিতির কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছেন। পাশাপাশি জনসমাগম এড়িয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এর প্রেক্ষিতে ‘মুক্ত স্বদেশে জাতির পিতা’ প্রতিপাদ্যে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর