...
Saturday, November 16, 2024

স্তব্ধ নীরব মন্ত্রীগণ

বিডিনিউজ ডেস্ক

চাকুরির খবর

টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আছে। তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি।

মন্ত্রীসভার আয়ুষ্কাল প্রায় আড়াই বছর হতে চলল। এই সময়ে এই মন্ত্রীসভার অনেক সদস্যই উজ্জ্বল ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মন্ত্রীসভায় চমক সৃষ্টি করেন।

দলের সমস্ত হেভিওয়েট নেতাদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন মুখ দিয়ে এই মন্ত্রীসভা সাজিয়েছেন তিনি। প্রত্যাশা ছিল যে যারা সুযোগ পেল তারা কাজ দেখিয়ে নিজেদের জায়গা করে নেবেন। এদের মধ্যে অনেকেই এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন।

কিন্তু অনেকের কাজ দিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এবং জনগণের মধ্যে এক ধরনের হতাশা রয়েছে। তবে মন্ত্রীসভায় কিছু সদস্য ভালো কাজ করেছেন কি খারাপ কাজ করেছেন সেটি বড় বিষয় নয় বরং তারা আলোচনার মধ্যেই নেই।

মন্ত্রী হবার পর থেকে পারতপক্ষে তারা এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করছেন। এই নীরবতার কারণ কি সেটি তারাই ভালো বলতে পারবেন।

তবে স্তব্ধ, নীরব মন্ত্রীদের কার্যক্রম নিয়ে নানামুখী আলোচনা কান পাতলে শোনা যায়। যে সমস্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পরে একেবারে কথা বলছেন না তাদের মধ্যে রয়েছেন:

১. ইয়াফেস ওসমান: বাংলাদেশের সবচেয়ে কম কথা বলা মন্ত্রী নিঃসন্দেহে ইয়াফেস ওসমান। তাকে সর্বশেষ কবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল সে নিয়েও রীতিমতো গবেষণা করতে হবে।

ইয়াফেস ওসমান ভাগ্যবান মন্ত্রী যিনি তিন মেয়াদেই একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথমে তিনি হয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী, তারপর পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে গত দুই মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।

প্রথম দিকে তিনি টুকটাক কথাবার্তা বললেও এখন তিনি একেবারেই নীরবতা অবলম্বন করছেন। না রাজনীতি, না মন্ত্রণালয় কোন বিষয়েই তাকে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায়না।

২. বীর বাহাদুর: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হলেন বীর বাহাদুর। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইস্যু দূরে থাক, রাজনৈতিক ইস্যুতে তাকে সচরাচর মুখ খুলতে দেখা যায় না।

৩. শরীফ আহমেদ: প্রতিমন্ত্রী গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বর্তমান মন্ত্রীসভায় একটি বড় পরিবর্তন হয়েছিল। মন্ত্রীসভার প্রথমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম।

পরে তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে সরিয়ে দিয়ে শরীফ আহমেদকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর তাকেও খুব একটা সরব দেখা যায়নি। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা ছাড়া তার কার্যক্রম কারোরই চোখে পড়ে না।

৪. মো: জাকির হোসেন: এবার মন্ত্রীসভা অন্যতম চমক ছিলেন প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন। মো: জাকির হোসেন শুরু থেকে কথাবার্তা বললেও এখন তিনি এক ধরনের মৌনব্রত অবলম্বন করছেন।

বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না খোলা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যখন কথা বলছে তখন মো: জাকির হোসেনকে একরকম নীরবে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিষয়ে যেমন তিনি অনুপস্থিত, তেমন মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কার্যক্রমেও তাকে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

৫. কামাল আহমেদ মজুমদার: দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে এসে এবার এই প্রথম শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন কামাল আহমেদ মজুমদার। শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শুরু থেকেই তিনি এক ধরণের নীরব।

খুব প্রয়োজন ছাড়া তাকে কথাবার্তা বলতে দেখা যায়না। এমনকি একসময় রাজনীতির মাঠে তিনি সরব থাকলে এখন রাজনীতির মাঠে তিনি এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করছেন। এই নীরবতার কারণ কি সেটি অবশ্য তিনি ভাল বলতে পারবেন।

তবে সাধারণ মানুষ মনে করেন যে, একজন মন্ত্রীর যেমন রাজনীতির বিষয়ে কথা বলা উচিত তেমন তিনি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা উচিৎ। তাদের এই নীরবতা জনগণের কাছে এক ধরনের ভুল বার্তা দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

বাংলা ইনসাইডার

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.