20 C
Dhaka
Monday, November 25, 2024

সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু মায়ের আকুতি বাবারে বুকে আনি দে আমি একটু চামু

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

চাকুরির খবর

সৌদি আরব প্রবাসী লক্ষ্মীপুরে ছেলে আলী আহমেদের মৃত্যু পরিবারে শোক তার পরিবারের কান্না যেন থামছেন না। আমার বাবার লাশ হলেও আনি দাও, বাবার লাশ চাইয়াম। মাইনসে বিদেশ যায় কামাই করতো , আঁর বাবা বিদেশ যায় মৃত্যু কামাইছে। ও আল্লাহ , আঁর মরি যাইতে মন চাইরে।

এভাবে কেঁদে-কেঁদে ছেলের লাশ দেশে আনার জন্য আকুতি জানিয়েছেন সৌদি আরবে মারা যাওয়া আলী আহমেদের ( ৪২ ) বৃদ্ধা মা আফিয়া খাতুন। আলীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে।

স্বামীর মৃত্যুর খবরে আলীর স্ত্রী সাফিয়া বেগমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। তিনি দুইদিন ধরে থেমে থেমে কান্নায় বিলাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

বড় মেয়ে সুফিয়া আক্তারের চোখেও জল। কখনো ডুকরে-ডুকরে কাঁদছেন , কখনো মূর্জা যাচ্ছেন। বাবার স্বপ্ন দেখার কথা বারবার সামনে আসছে। কে , কী বলে তাদের সান্ত্বনা দিবেন-ভাষা জানা নেই স্বজনসহ প্রতিবেশীদের। ঘরে আরও তিন শিশু সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ মাস বয়সী মেয়েটি প্রতিবন্ধী।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজার এলাকার কালা গাজী বাড়িতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে । পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সংসারের অভাব দূর করতে চার লাখ টাকা ধার করে প্রায় তিন মাস আগে আলী সৌদি আরবে যান। সেখানে তাঁর ছাগল পালন করার কথা। তিনি আল হাবিব এলাকায় কাজে দেন।

গত ১৫ জুলাই রাতে আলীর মৃত্যুর বিষয়টি সৌদি আরব থেকে মুরাদ হোসেন ফোনে তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন। মুরাদের মাধ্যমে আলী সৌদিতে গেছেন । তিনি ( মুরাদ ) রসুলগঞ্জ বাজারের ফল ব্যবসায়ী আবু তাহেরের শ্যালক।

আলীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন , কর্মস্থলে তাঁর ( আলী ) খাবার ও পানির চরম সংকট ছিল । তাঁকে সারা দিনে খেতে দুইটি রুটি দেওয়া হতো ।

বিষয়টি মুরাদকে জানানোর পরও কোন উদ্যোগ নেয়নি। খাওয়ার কষ্টে তিনি মারা গেছেন বলে দাবি পরিবারের। তারা দেশে দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনতে সরকার ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছে ।

- Advertisement -

আরও সাম্প্রতিক খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর