অনলাইন ডেস্ক: শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে আগুন লাগে। দ্রুত সে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়।
কনটেইনারে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক থাকায় সে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক বেগ পেতে হয়। ভয়াবহ এই ঘটনা তদন্তে ডিপো কর্তৃপক্ষ নিজেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশন, জেলা প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন বেসরকারি এই কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ এই আগুন লাগার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।টার্মিনাল ম্যানেজার, ডেপুটি ডিরেক্টর ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনারকে নিয়ে গঠিত কমিটিতে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৬টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ভয়াবহ এ আগুনে ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৯ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আহত ও দগ্ধের সংখ্যা দুইশ।
এই তদন্ত কমিটির বাকি সাত সদস্য হলেন- পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার আবু নুর রাশেদ আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার পরিচালক মুফিদুল আলম, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের মেজর আবু হেনা মো. কাউসার জাহান, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম ও চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।
৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনও। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক বদিউল আলমকে আহ্বায়ক করে গঠন করা কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে সাত কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের পক্ষ থেকে এ ঘটনা তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের কমিটি। কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম জানিয়েছেন, এই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিউদ্দিন।
বাকি সদস্যরা হলেন-যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান ও সালাহউদ্দিন রিজভী এবং সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা ও রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ দাশ। প্রতিবেদন জমা দিতে সাত কার্যদিবস সময় পাচ্ছে এই কমিটিও।