সাজিয়া সুলতানা মিমের দুইটি কবিতা
এক
চিহ্ন
__সাজিয়া সুলতানা মিম
একতলা বাড়ি, দুটো ঘর
চারে চারে আটটা দেয়াল
বড় ঝুলন্ত ঘড়ি একপাশ জুড়ে
একটা বারান্দা,সম্মুখে জং ধরা গ্রিল,
দুটো কপাট,ছয়টা জানালা
জোড়া নয়ন সেদিকে তাকিয়ে
তুমি আসবে বলে।
ঢুকতেই তিনটে সিড়িঁ
রেখেছে সেখানে জ্বলন্ত কয়লা,
তুমি আসবে তবে
নিশ্চুপে বাতাস উঠবে মেতে কলরবে
আনন্দে ধোয়াঁরা করবে মিছিল !
এই তো সময়
অপেক্ষারা ক্লান্ত বড্ড,
অর্ধ নিশ্বাস নিবো পূর্ণ
অতঃপরে কয়লাকুঠি চিহ্ন !
দুই
আমার শরীরের নাম তুমি
__সাজিয়া সুলতানা মিম
বৃদ্ধ কাকের কন্ঠ কেমন হয় জানি না!
তুমি শুধু কপাটের জং ধরার গাঢ় রং’কে বিশ্বাস করেছ,
কখনও জানতে চেয়েছ কি
তুমি সামনে এলে আমার ঠোঁট কেন কাঁপে?
কখনো জানতে চেয়েছ কি
আমার ভাবনায় তুমি কতটা তীক্ষ্ণ?
যখন জরিয়ে ধরতে ঠিক সেই
সময় প্রশ্বাস কয়েক সেকেন্ড
বন্ধ রাখতাম,খেয়াল করেছ কি?
জানো না তুমি তবে বলি শুনো,
তোমার চরিত্র হিমু’র মতো
করতে চাইলেও যায়না।
চুড়ির ভাঙ্গা যে ২৭ টি খন্ড
আছে তা তুলে রেখেছি,
তোমার ক্লান্ত ঘামের ছিন্ন জল
যে মুছে ছিলাম শাড়ির আঁচলে
তা গুটিয়ে রেখেছি,
ভালোবাসার দাসত্ব করা
কিংবা বিষ পান,একটুও পার্থক্য নেই!
তোমার হাতে উড়ে যাওয়া
সেই কবুতর ও এখন পাপী,
তাহলে আমার এই দেহের কথা ভাবো একবার!!
প্রতিবন্ধী ফুল ফুটপাতেও মানায় বুঝেছ..
আমি তো তোমার বিছানার চাদরের আলোকিত কলঙ্ক,
তুমি ছুঁড়ে দিয়েছ আমায়
যে শূন্য শহরে সেখানের আকাশে আর রংধনু উঠবে না।
কারণ টা তুমি !
আমার এই শরীরের নাম টাও তুমি !