দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
তবে তারও আগে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে মন্ত্রণালয়ের ভেতরে রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার, তাকে সেখান থেকে পুলিশের গাড়িতে তোলার স্থিরচিত্র এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
সেখানে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন নারী রোজিনা ইসলামের গলা হাত দিয়ে চেপে ধরেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, অত্যন্ত রুঢ় এবং মারমুখী আচরণ তার রোজিনা ইসলামের সঙ্গে।
প্রশ্ন উঠেছে কে এই নারী?
সাংবাদিক প্রণব সাহা গলা চেপে ধরার ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ নতুন কিছু নয়। সবাই চান সংবাদমাধ্যম ‘আমার’ পক্ষে থাকবে। অনেকে থাকেও হয়তো।
কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় গলা টিপে একজন সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা, তা মেনে নেবো না। অসুস্থ রোজিনার চিকিৎসা সবার আগে হতে হবে। আরও দাবি মামলার আগে আটকে রেখে হত্যা চেষ্টার বিচার চাই।
সাংবাদিক মুন্নী সাহা লিখেছেন, কার গলা চাপলেন? মনে রাখুন। রোজিনারা একা নন… গলা চাপলেও ভালো সাংবাদিকতা গলা ছাড়ে। আরও জোরে।
সাংবাদিক মানষ ঘোষ ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদের পাশাপাশি রোজিনা ইসলামকে হত্যা চেষ্টার মামলা হোক।
হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক তৌফিক মারুফ লিখেছেন, রাতের মধ্যেই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি দেওয়া হোক।
সেই সঙ্গে ন্যক্কারজনক ও অমানবিকভাবে সাংবাদিক নিপীড়নকারী স্বাস্থ্যসচিব ও অতিরিক্ত সচিবসহ সব কর্মকর্তাকে অবিলম্বে অপসারণ করা হোক।