অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ১৪৭ বিধিতে এ সাধারণ প্রস্তাব সংসদে তুলবেন। ওই প্রস্তাবের উপর সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে তা সংসদ গ্রহণ করবে।
নূর-ই-আলম চৌধুরীর প্রস্তাবটি হলে, সংসদের অভিমত এই যে, আগামী ২৫ জুন, ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু কাঙ্ক্ষিত সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প ‘পদ্মা সেতু’উদ্বোধন করবেন। এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সস্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণের এই অর্জন ও কৃতিত্বের ‘একমাত্র দাবীদার’ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে একটি সাধারণ প্রস্তাব সংসদে তোলা হচ্ছে। বুধবার উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি দিনের কার্যসূচি থেকে জানা গেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, এই অর্জন ও কৃতিত্বের দাবীদার একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তি, বিশ্ব ব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা ছিলেন তার পিতার মত আপসহীন, অটল ও অবিচল। কোনো চাপের কাছে শেখ হাসিনা সেদিন মাথা নত করেননি।
২০১২ সালের ৮ জুলাই এই মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেন, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই হবে।
বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। সে সময়ে কিছু অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞগণ বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
নূর-ই-আলম চৌধুরীর প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেল সংযোগের কারণে প্রথমবারের মত সমগ্র দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোর আওতায় চলে আসবে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে দেশের জিডিপি বাড়বে প্রতি বছর অন্তত ১.২৩ শতাংশ।