জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ২নং পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস কে (আনারস প্রতীক) হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিনি থানায় জিডি করেছেন।
গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনার পর তিনি মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, বর্তমান চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে টানা চতুর্থবারের মতো পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে তিনি পুনরায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী সামস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম মানিকের সমর্থক মিজান মুন্সি, রুবেল মেম্বার, নুরুল ইসলাম সহ একদল দুর্বৃত্ত গাছবয়ড়া গ্রামে তার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা ও তাকে হত্যাচেষ্টা চালায়। এসময় তিনি অন্য বাড়িতে আশ্রয় নিলে দুর্বৃত্তরা সেখানেও হামলা চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। দলের দুঃসময়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু দলের সু সময়ে এমন হামলার শিকার হবো তা কল্পনাও করতে পারিনি।
নৌকা প্রতীকের লোকজন কোথাও আনারস প্রতীকের পোস্টার টাঙানো ও নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করতে দিচ্ছে না। কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি ও মারধর করায় প্রচারণা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও ভোটগ্রহণের দিন র্যাব-বিজিবি মোতায়েনের দাবিও জানান তিনি।
অভিযুক্ত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম মানিক সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক জানান, বাড়িতে হামলা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে মর্মে সামস উদ্দিন থানায় একটি জিডি করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাকসুদ আলম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।