টানা ১২ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। এই ১২ বছরে দেশ অসাধারণ উন্নতি করেছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় গিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে অতিক্রম করেছে।
সব সূচকে পাকিস্তান থেকে এগিয়ে আছে। বিশেষ করে করোনার সময় যে দেশগুলো করোনা মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে সচল রেখেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হবে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে বাংলাদেশে দৃশ্যমান মেগা প্রকল্পগুলো এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেলের মত প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক স্মারকচিহ্ন বটে।
এই অবস্থায় বাংলাদেশে বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যখন সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বা গোপনে আন্দোলন করতে পারছে না তখন তারা এক ধরনের নোংরা সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ করছে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী অপশক্তি।
তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে লাগাতার সরকারবিরোধী নোংরা, কুৎসিত এবং মিথ্যা অপপ্রচার করছে। আর এই সমস্ত অপপ্রচার এমন পর্যায়ে চলছে যে এটিকে অনেক বিশেষজ্ঞরা সাইবার ওয়ার হিসেবে চিহ্নিত করছেন। আর এই অপপ্রচার যে শুধু সরকার বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা নয়, এই সমস্ত অপপ্রচারগুলো করা হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশকে যারা চায়নি, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এই সমস্ত নোংরা খেলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, লন্ডন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা থেকে মূলত এই সাইবার যুদ্ধ চলছে। লন্ডনের একাধিক ইউটিউব চ্যানেল এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকারের বিরুদ্ধে বানোয়াট এবং মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। যারা করছে তারা সকলেই স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী এবং বিএনপি-জামায়াতের অনুগ্রহ পুষ্ট।
লন্ডন থেকে বহিষ্কৃত একজন সেনা কর্মকর্তা যার নাম শহীদ উদ্দিন, তিনি নোংরা, কুৎসিত এবং মিথ্যা-বানোয়াট অপপ্রচারের জন্য ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছেন। এছাড়াও আরেকজন স্বাধীনতাবিরোধী বুদ্ধিজীবী তাজ হাশমী বাংলাদেশ সরকার বিরোধী অপপ্রচারের অন্যতম একজন ব্যক্তি বলে জানা গেছে।
কনক সরওয়ার বলে জামায়াত পন্থী এক সাংবাদিক, তিনি তার একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে মিথ্যার বেসাতি ছড়ানো হচ্ছে এবং সেই মিথ্যা এতই নিম্নমানের এবং অরুচিকর যে এখন এসমস্ত ইউটিউব চ্যানেলগুলো পর্নোগ্রাফিকেও হার মানিয়েছে। কানাডা থেকে নাগরিক টিভি বলে একটি টেলিভিশনের প্রধান কাজ হল সরকারবিরোধী অপপ্রচার করা এবং যারা সরকারের ঘনিষ্ঠ, যারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তাদেরকে টার্গেট করে এই সমস্ত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
নাগরিক টিভিতে বিভিন্ন রকম টকশো আর মিথ্যাচারের মাধ্যমে মূলত স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকেই পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হচ্ছে। সুইডেনের নেত্র নিউজ এর মাধ্যমে ডেভিড বার্গম্যান এবং তাসনিম খলিল সরাসরি সরকারবিরোধী অপপ্রচার করছে এবং এই অপপ্রচারের মাত্রা এতটাই ভয়ঙ্কর যে এই সমস্ত কথাবার্তাগুলো যেকোনো বিচারে ন্যূনতম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রীতিনীতির পরিপন্থী।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ সরকার, বিটিআরসি এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এই সমস্ত অপরাধী এবং সাইবার ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ইউটিউব বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সমস্ত অপপ্রচার বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলেও সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন।
বাংলা ইনসাইডার