অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪-এর ধারা ৬-এর দফা (থ) এ’তে ‘সময় ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিক, বাস্তবধর্মী ও অধিকতর কল্যাণমুখী নতুন নতুন কার্যক্রম নেয়া ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া’ এবং ধারা-১৮ এ ‘বোর্ড বীমা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য জীবন বীমা করতে পারে’ – এমন উল্লেখ রয়েছে।
তাই আইনের এ বিধান অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বীমা সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তসহ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৩৫তম বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, এ সভায় স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের প্রয়োজনীয়তা বা যৌক্তিকতা, জীবন বীমা করপোরেশন থেকে পাওয়া প্রস্তাব, সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। একই সঙ্গে বীমা কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে বীমা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়।
এসব সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বীমা সেবার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড। এজন্য এ বোর্ডের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বীমা কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।