অনলাইন ডেস্ক: শহীদ শেখ জামাল ১৯৭১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলের সাথে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। সেই বন্দিদশা থেকে তিনি পালিয়ে পায়ে হেঁটে নানাভাবে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আগরতলা গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ জামাল পুরো নয় মাস মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সম্মুখ সমরে থেকে যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। বিশ্ববিখ্যাত সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্রিটেনের ‘স্যান্ডহার্স্ট’ থেকে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি একজন মেধাবী তরুণ ছিলেন। একইসঙ্গে সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন, সংস্কৃতি চর্চা করতেন। খেলাধুলার প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ।
তিনি আরও বলেন, শেখ জামালের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একজন মেধাবী তরুণকে হারিয়েছিল। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ যিনি দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন, দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারতেন।
মেধাবী তরুণ শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’। দুঃখজনক হলেও সত্য আজও তারা আস্ফালন করে।