লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হাছানুজ্জামান চৌধুরীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে তার বাড়িতে গিয়ে খুঁজে না পেয়ে দরজা-জানালা ভাংচুরের ব্যর্থ হয়ে তার পরিবারকে নানা ভাবে অশালিন ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নৌকার প্রার্থীসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে। হাছানুজ্জামানকে যেখানেই পাবে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাবে ও হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে নৌকার প্রার্থী হাওলাদার নুরে আলম জিকুসহ তার অনুসারী ৬০-৭০ জনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানা ও রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন জাপা প্রার্থী হাছানুজ্জামানের পক্ষে তার ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন রুবেল।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাছানুজ্জামানের ছেলে আলাউদ্দিন রুবেল সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন প্রচারে নামার পর থেকে তার পিতা কে তারা খুঁজে পাচ্ছেনা।
জাপা প্রার্থী হাছানুজ্জামান চৌধুরী দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়নের সভাপতি ও সৃজন ব্যবসায়ী। নৌকার প্রার্থী হাওলাদার নুরে আলম জিকু আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য ও ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কর্মকর্তা ও দক্ষিন চরআবাবিল ইউপির উদমারার বাসিন্দা।
জাপা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাছানুজ্জামানের ছেলে রুবেল বলেন, দলের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাও দিয়েছেন আমার বাবা। বুধবার ( ১০ নভেম্ব) রাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে বাবাকে খুঁজে না পেয়ে তাকে, তার মা ও স্ত্রীকে নানা অশ্রাভ্য ভাষায় গালমন্দ করে নৌকার প্রার্থী জিকুসহ তার সাথের লোকজন।
হাছানুজ্জামানকে যেখানেই পাবো সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাবো ও হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। বুধবার রাত থেকে বাবাকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ও পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনার পর জাপা ও আ’লীগ নেতাদের জানিয়ে বিচার চেয়ে নৌকার প্রার্থী হাওলাদার নুরে আলম জিকুসহ তার অনুসারী ৬০-৭০ জনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানা ও রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।। এখন পর্যন্ত আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও পাচ্ছি না, বলেন।।
অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী নুরে আলম জিকু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। এধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। জাপা প্রার্থী হাছানুজ্জামান তার মতো করে চেয়ারম্যান নির্বাচনের কাজ করবেন। তাছাড়া তার ছেলেরা আমার পোষ্টার ছিড়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্য অপপ্রচার ও অভিযোগ দিয়েছেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, এখন পর্যন্ত দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়নের কোন প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দেননি। তা পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।