চলমান করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কর্তৃক জারিকৃত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেজান্ডার মেঘনা নদীর পাড়ে।
ঈদের দিন থেকে প্রতিদিন ব্যাপক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটেছে। আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দর্শনার্থীরা মেঘনার সৌন্দর্য দেখতে আসছেন। ট্রলারে, স্পিডবোটে করে চরে ঘুরছেন অনেকে।
লকডাউন জেনেও এবারের ঈদে বেড়ীবাঁধ এলাকায় হোটেল রেস্তোরাঁর সংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে স্থাপিত হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী রেস্তোরাঁ।
উপস্থিতি অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে প্রতিদিন শত শত লোকের পদচারণায় বাড়ছে নদীর পাশে কিন্তু অভিযোগ উঠেছে পর্যটকদের মাঝে সেই কোন স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দৃরত্ব। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয়রা।
এ দিকে এলাকার লোকদের অভিযোগ প্রশাসনের কোন ধরনের তৎপরতা না থাকার কারণে দিন দিন পর্যটন বাড়ছে কোন ধরনের স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দৃরত্ব ছাড়াই অবাধে চলাচল করছে। এতে করে করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
নোয়াখালীর মাইজদী থেকে ঘুরতে আসা মোঃ সাইদ হোসেন, রিয়াদ, আজগর বলেন লকডাউন জেনেও এখানে আসছি। এতো লোক হবে ধারনা ছিলো না।
সোস্যাল এক্টিভিস্ট মাসুদ সুমন জানান, লকডাউনে এতো বেশি জনসমাগম কাম্য ছিলো না। এ ব্যাপারে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোলাইমান বলেছেন, ইতিমধ্যে নদীর পাড়ে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে আর কাউকে বেড়ীবাঁধ এলাকা উঠতে দেয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মোমিন বলেছেন, ঈদের দিন বিকেলে প্রচুর লোক চলে আসছে এমন খবর পেয়েছি।
(রোববার) থেকে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আনসার সদস্যের একটা টিম নদীর পাড় এলাকায় অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জনসমাগম বন্ধ। না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।