লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো: আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেছেন শিল্প- সাহিত্য সংস্কৃতি ছাড়া সভ্যতা সমাজ বিকশিত হতে পারে না। সমাজের অনিয়ম শোষণ, বৈষম্য দূরীকরণে শিল্প সাহিত্যের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে।
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ৭১ মুক্তিযুদ্ধে কবি লেখকদের অবদান রয়েছে। সমাজের অপশক্তি ও কুসংস্কার দূর করে সাহিত্য মূল্যবোধে বিকাশ ঘটাবে।
তিনি ১৩ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধায় লক্ষ্মীপুর জেলা সাহিত্য সংসদ এর ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাহিত্য অনুষ্ঠান ও কবি লেখক সম্মাননা প্রদান কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাহিত্য সংসদের সভাপতি ডা: মো: সালাহউদ্দিন শরীফের সভাপতিত্বে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।
সংগঠনের সহসভাপতি মোশারফ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের অধ্যাপক খন্দকার ইউসুফ হোসেন,জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ জেলা শাখা সভাপতি সাইফুল ইসলাম তপন, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কার্তিক সেন গুপ্ত, সাহিত্য সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুবুল বাসার ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ জেলা শাখা সভাপতি মাহবুবুর রশিদ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে আরও বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রচুর সাহিত্য রচিত হয়েছে। শিল্প ও সাহিত্যে যতবেশী চর্চা ও অনুবাদ হবে, ততই জাতী ও সমাজ সমৃদ্ধ হবে। বাঙালি সংস্কৃতি ও ভিশন বিশ^বাসীর সামনে তুলে ধরতে সাহিত্যের প্রয়োজন।
২২ বছর ধরে জেলার কবি ও লেখকদের সৃজনশীলতার চর্চায় প্রেরণা যোগানোর জন্য এবং সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য তিনি সাহিত্য সংসদ কে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে জেলার বর্ষসেরা কবি সম্মাননা ২০২১ পেয়েছেন কবি বেলায়েত হোসেন (ভিপি বেলায়েত)।
বাংলা আওয়াজ লেখক সম্মাননা ২০২১ পেয়েছেন কবি ও লেখক আনিস আহমেদ। কবিতা পাঠ প্রতিযোগীতায় পুরষ্কৃত হয়েছেন কবি আনিস আহমেদ, কবি আবির আকাশ ও কবি শাহরিয়ার মাহমুদ।
কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন জহিরুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম শ্রাবণ, রুবেল আহমেদ, সাফায়েত হোসেন ও সোলায়মান চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন এন্টিমণি মজুমদার ও নাসরিন জাহান রীনা।