নিখোঁজের ৬ দিন পর সাব্বির কে ১ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তাস্তর করা হয়। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও প্রবেশন অফিসার মাহবুবুর রহমান, লক্ষ্মীপুর সরকারী শিশু পরিবারেরর উপ-তত্বাবধায়ক আবদুল আজিজ মাহবুব এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাব্বির পরিবার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মৃত মো: খোকনের পুত্র প্রতিবন্ধী (১৪) বাড়ির কাউকে কিছু না বলে গত ২৭ মে (বৃহস্পতিবার) বাড়ি থেকে হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে ঘটনার ২ দিন পর তাকে নোয়াখালী চাঁটখালীতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা পাওয়া যায়।
শিশুটিকে লক্ষ্মীপুর সরকারী শিশু পরিবারে রাখার জন্য চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করেন।
পরে শিশুটিকে লক্ষ্মীপুর সরকারী শিশু পরিবারে রাখা হয়েছে। এ দিকে ঘটনার দিন ১ জুন (মঙ্গলবার) সকালে শিশু পরিবারে পরিদর্শনে যান জেলা সমাজ সেবা উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী। তিনি শিশুটিকে কাছে এনে তার পিতার- মাতার পরিচয় জানার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে সেই তার ঠিকানা খুলে বলে।
পরে তাৎক্ষনিক জরুরী খবর পাঠিয়ে দিলে এলাকা থেকে শিশু রাব্বি মাতা ববিতা বেগম, জেঠা আনোয়ার হোসেন, বড় ভাই রাব্বি, প্রতিবেশী সোহেল ও মেহেদী হাসানসহ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাব্বির বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সরকারী শিশু পরিবারেরর উপ-তত্বাবধায়ক আবদুল আজিজ মাহবুব বলেন, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা পত্রের মাধ্যমে অনুরোধের প্রেক্ষিতে শিশুটিকে শিশু পরিবারে রাখা হয়েছে। তাকে নতুন করে জামা কাপড় কিনে দেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত খাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিশুটি এখন থেকে তার মায়ের কাছে থাকবে তাকে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উপজেলা প্রবেশন অফিসার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিখোঁজ সাব্বির হোসেনের মায়ের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে কাগজপত্র-যাচাই বাছাই করে সত্যতা পাওয়া তার স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা সমাজ সেবা উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, সাব্বির আমার কাছে তার পরিবারের সকল তথ্য দেওয়ার পর পরই ফরিদগঞ্জ সমাজ সেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে তার বাড়ি বের করে স্বজনদের অবহিত করার পর পরই তারা আমাদের কাছে এসে যোগাযোগ করে।
প্রয়োজনীয় নিয়ম অনুসরণ করে তাকে স্বজনদের কাছে ঝুঝিয়ে দিতে সত্যিই আমাদের ও ভালো লাগছে। সাংবাদিকদের পাশে থাকায় ধন্যবাদ জানান।