লক্ষ্মীপুরে পশ্চিম চররমনী মোহন এলাকায় জেলে আবদুস শহিদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের স্ত্রী কুলছুম বেগম ও তার সন্তানরা। রবিবার (২০ জুন) দুপুরে শহরের তমিজ মার্কেট একটি স্থানীয় পত্রিকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী আবদুস শহিদ ১৪ জুন সোমবার রাত ১০টার দিকে শ^শুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে গভীর রাতে বাবুল ছৈয়াল, দেলোয়ার মুন্সি, নানু রাঢী, ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার স্বামীকে গুরুতর জখম করে। রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।
পরেরদিন সকালে সুপারী বাগানে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর গত বুধবার বিকেলে মারা যায় আবদুস শহিদ।
এ ঘটনায় তিনি সদর থানায় ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল তার ভাতিজা বাবুল ছৈয়ালসহ ১৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করেনি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী নদীতে মাছ শিকার করতো এবং কৃষি কাজ করে সংসার চালাতো। গিয়াস উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাজিতা বাবুল ছৈয়াল সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। তারা আমাদের ১৬শ তাংশ জমি বার বার দখল করার চেষ্টা করেছে।
এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধেই জের ধরে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামীর হত্যায় জড়িতদের শাস্তি চাই। থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামীরা বাদী হুমকি ধামকি দিচ্ছে অভিযোগ করেন তিনি। নিহত শহীদ চর রমনী মোহন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল হাসেশের ছেলে। তার স্ত্রী ও ৪ ছেলে রয়েছে।
এ দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ঘটনার স্থলে গিয়ে পুলিশ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবে।