ডিসি-এসপি’র নেতৃত্বে সেনাবাহিনী-পুলিশ, বিজিবি সদস্যদের বিরামহীন টহল ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও চলমান কঠোর লকডাউন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে।
প্রশাসনের কঠোরতা আর পুলিশী তৎপরতায় নিজ নিজ অবস্থানে থেকে লকডাউনে সার্বিক সহযোগিতা করছে রাঙামাটিবাসী। সকাল থেকেই রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন স্বশরীরে নেতৃত্ব দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এসময় পথচারি ও স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার আহবান জানিয়ে তারা মাইকিংও করেছেন।
টানা তৃতীয় দিন রাঙামাটিতে সরকারী নির্দেশনা মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল-মোটেল, পর্যটন স্পটগুলোসহ অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার সকল প্রকার যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দেশের একমাত্র রিকসাবিহীন রাঙামাটি শহরে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকায় এখানকার বাসিন্দা, চাকুরিজীবিদের চলাচলে চরম বিপাকে পড়তে দেখা গেছে।
তবে প্রয়োজনানুসারে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে জরুরী চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য অনুমোদিত কার্যক্রম সাড়তে জনগণকে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে রাঙামাটির পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
জেলা প্রশাসনের একাধিক মোবাইল কোর্ট টিম শহরের মোড়ে মোড়ে টহল দেওয়ার পাশাপাশি সহনীয় পর্যায়ে আর্থিক জরিমানা করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে ঘরে পাঠিয়ে দিতেও দেখা গেছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন জানিয়েছেন, সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনাকালীন এই লকডাউনে কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য জেলার বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছে।
স্থানীয় জনগণকে বুঝিয়ে ঘরে থাকার আহবান জানানোর পাশিপাশি জনগণের প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতেও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে পুলিশ সদস্যরা। ওসি বলেন, আইনের প্রয়োগে হয়রানী নয় জনগণকে আইন মানার অভ্যাস গড়ে তোলার কাজই করছে পুলিশের সদস্যরা।