অনলাইন ডেস্ক: সোমবার (২৩ মে) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ৭৮তম অধিবেশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে। এই মানবিক সঙ্কট নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মরাত্মক হুমকির সৃষ্টি করেছে।
২৩ থেকে ২৭ মে ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে এবং ‘এসক্যাপ’-এর ৭৫তম বার্ষিকীতে অনলাইনে এই অধিবেশনটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার পরামর্শের ব্যখ্যায় আঞ্চলিক সংকট ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নত করতে আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আরও বাস্তবসম্মত উপায়ে স্নাতক দেশ গুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থার অনুরোধ জানান।
শেখ হাসিনার প্রস্তাবগুলোতে, তিনি জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের জন্য সহযোগিতার সুবিধার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশ গুলোতে পর্যাপ্ত তহবিল এবং প্রযুক্তি বরাদ্দের জন্য সদস্য রাষ্ট্র গুলোকে একত্রিত হয়ে সহায়তা করার ও পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী আরেকটি প্রস্তাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তথ্যপ্রযুক্তি বৃদ্ধির জন্য আইসিটি’র প্রসারের কথা বলেন যা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় পরিষেবা গুলোকে সক্ষম করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব পুনরুদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন রুশ-ইউক্রেনীয় সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অধিবেশনের থিম, ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন অগ্রসর করার জন্য একটি সাধারণ এজেন্ডা,’ একটি টেকসই বিশ্বের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব এবং সংহতি জোরদার করতে সঠিকভাবে পদক্ষেপ বেছে নেয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে স্নাতক হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের পরিকল্পিত উন্নয়ন যাত্রার বৈশ্বিক স্বীকৃতি যা, আমরা গত তেরো বছর ধরে অনুসরণ করছি।
সরকার প্রধান বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণই আমাদের উন্নয়ন সাধনার কেন্দ্রবিন্দু,এসডিজিতেও তাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার এসডিজিতে প্রদত্ত কাঠামোর পরিকল্পিত নথিতে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশগত সুরক্ষা এবং আইসিটির একীভূূতকরণের চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা এসডিজি-১ এবং এসডিজি-২ এর মূল প্রতিপাদ্য।