লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ ৬ বছর আগে বাবা মারা যায়। অন্য পুরুষের হাত ধরে মা ও চলে যায়। এতে ১৫ বছরের কিশোরীসহ তারা চার বোন দাদা-দাদির কাছে বড় হয়।
দারিদ্রতার কারনে শহরে গৃহকর্মীর কাজ করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী (১৫)। এ ঘটনায় বুধবার (৯ মার্চ) স্ত্রী পারভিনসহ দুলাল (৪৫) নামের ধর্ষক গৃহকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনায় তোলপাড় চলছে।
বুধবার সকালে ঘটনার তদন্তে থানায় আসেন কিশোরী জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই মারমা এর আগে ঘটনাটি ঘটেছে-সোমবার রাতে (৭ মার্চ) লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার নতুনবাজারের খাজুরতলা গাংপার শ্বশানঘাট এলাকায়।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরের কিশোরির দাদি রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে ধর্ষক দুলাল, তার স্ত্রী পারভিন ও দালাল জাকিরসহ ৫/৬ জনের নামে গনধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন।
ওই কিশোরীকে জেলা সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য এবং আটক দুলাল ও তার স্ত্রী পারভিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক ধর্ষক দুলাল একই এলাকার মৃত আলি আকবরের ছেলে ও পারভিন দুলালের স্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরী উত্তর চরআবাবিল ইউপির ঝাউডুগি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় একই গ্রামের দালাল ও হায়দরগঞ্জ এলাকার ফার্নিচার কর্মচারি জাকিরসহ অন্য ধর্ষকরা পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার ও রায়পুর থানা সূত্রে জানা যায়, রায়পুরের ঝাউডুগি গ্রামের দালাল জাকির তারই এলাকার ওই কিশোরিকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন নারী ব্যবসায়ী দুলালের কাছে।
ওই রাতেই দুলাল ও জাকিরসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন কিশোরীকে গণধর্ষন করে। কিন্তু ওই রাতে দুলাল চুক্তি অনুযায়ী জাকিরকে কম টাকা দেয়ায় মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরিকে নিয়ে গ্রামে চলে যায় জাকির হোসেন।
এ ঘটনাটি জানতে পেরে বুধবার (৯ মার্চ) সকালে স্থানীয় যুবক রাকিব ও ইসমাইল ওই কিশোরি ও তার দাদিকে কে থানায় নিয়ে আসেন। তখনই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই মারমা বলেন, গনধর্ষনের শিকার কিশোরীর দাদী হয়ে ৬/৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
কিশোরিকে মেডিকেল পরীক্ষায় জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত দুলালসহ তার স্ত্রী পারভিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।