অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর পর পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে ব্যাপক চাপে ফেলেছে। এতদিন রাশিয়ার আয়ের মূল উত্স জ্বালানি খাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল।
এবার সেই খাতেই নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি, সিএনএন ও আলজাজিরা।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর প্রধান জানিয়েছেন, ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পুতুল সরকার গঠনের চেষ্টা সফল হবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার (৮ মার্চ) শান্তি আলোচনার ডাক দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হয়নি রাশিয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমেরিকান জনগণ পুতিনের নেতৃত্বের প্রতি আরেকটি জোরালো আঘাত হানবে।
এতে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন আশংকা সত্ত্বেও দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক দলেই এ পদক্ষেপের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, তিনি জানেন যে এই আমদানি বন্ধের কারণে তার দেশকে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু আইন প্রণেতারা এমন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম, স্বাধীনতার জন্য মূল্য দিতে হয়। এখন সেটিই আমাদের দিতে হবে। বাইডেন ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহযোগিতায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ারও ঘোষণা দেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধে আমরা সহায়তা করবো না। এর আগে রুশ অশোধিত তেল কেনা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বৃহৎ মার্কিন তেল কোম্পানি শেল।