ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাসীবিহীন ব্যাস্ত সময় পার করছে রাঙামাটির কামাররা।
কোরবানির পশু জবাইয়ের কাজে ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র তৈরি ও আগুনের শিখায় লোহা পুড়িয়ে উক্ত উপকরণের পুরাতন ধাতব সমূহ সানাই বা ধার দিতে মানুষ নিয়ে আসে স্থানীয় এই কামারীদের কাছে।
রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরুপার মূল তিন পয়েন্টে এই কামার শিল্পীরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেলেও গত বছরের তুলনাই এবছর খুব অল্প সংখ্যক মানুষ দা, ছুরি, বটি ক্রয় বা ধার দিতে আসছে বলে জানিয়েছেন এখানকার কামাররা।
রিজার্ভ বাজার এলাকার কামারীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে মধ্যবিত্ত এমনো অনেক পরিবার অংশ নিতে পারছেনা এবারের কোরবানিতে। যদিও বা বিগত বছরের তুলনায় এবছর ব্যবসা কম তারপরও আমরা মোটামুটি কাজ পাচ্ছি।
প্রতি বছর কোরবানির এই সময়টাতে জেলার মোট ৩০ টি দোকানের প্রতিটি দোকানে প্রায় ৩ থেকে ৪ জন করে শ্রমিক রেখে আমরা পশু জবাই ও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত এসব ধারালো অস্ত্রগুলো তৈরি করি। এবারে শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারবোনা বলেই আমরা অতিরিক্ত কোনো শ্রমিক রাখিনি।
তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়া সকলের কথা চিন্ত করে দা, ছুরি, বটি ইত্যাদির দাম আমরা কমিয়ে দিয়েছি।
যেমন পশু জবাইয়ের ছুরি যেটা কিনা আগে ১০০০-১২০০ টাকা বিক্রি করতাম তা বর্তমানে ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি করছি, পশুর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটার কাজে ব্যবহার করা ২৫০ টাকা দামের ছুরি এখন ১৫০ টাকা, দা ও বটি যেগুলো আগের দাম ছিলো ৭০০-৮০০ টাকা সেগুলো এখন আমরা নিচ্ছি ৪০০-৫০০ টাকা।
কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, সামনের দিন গুলোতে ভালো কিছুর আশায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ এসকল কামারীরা।