গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক হামলা ও বেসামরিক প্যালেস্টাইনের ওপর চলমান নৃশংসতার প্রতিবাদে রংপুর মহানগর ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে শতাধিক প্রতিবাদী অংশগ্রহণ করে, যারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও ইসরায়েলি নীতির নিন্দা জানান।
মহানগর জামায়াতের উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খানের নেতৃত্বে মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা “গাজার শিশুদের রক্ষা করো”, “ইসরায়েলি সন্ত্রাস বন্ধ প্রভৃতি স্লগান বহন করে এবং ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করে।
এটিএম আজম খান তাঁর ভাষণে বলেন, “গাজার নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ ও ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক করিডোর খোলার দাবি জানাচ্ছি।” রংপুর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক আরও যোগ করেন, “মুসলিম বিশ্বের নেতারা যদি ঐক্যবদ্ধ হতেন, তাহলে গাজায় এই গণহত্যা থামানো সম্ভব হতো।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা ও স্থল আক্রমণে ৩০,০০০-এর বেশি প্যালেস্টাইন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। জাতিসংঘের মতে, গাজার ৮০% জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, আর মানবিক সংকট চরমে পৌঁছিয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরেও সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক-এ অনুরূপ বিক্ষোভ দেখা গেছে।
সমাবেশে মহানগর সেক্রেটারি কে.এম. আনোয়ারুল হক কাজল, সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী, আল আমিন হাসান, এবং জেলা নেতা মোস্তাক আহমেদসহ স্থানীয় জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার ছিল বলে জানা গেছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজায় সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা অব্যাহত রাখা হবে। আগামী সপ্তাহে ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জোরালো দাবি উপস্থাপন করা হবে।