অনলাইন ডেস্ক: গত নির্বাচনে সংলাপ করেছি, রেজাল্টটা কি, নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ ছাড়া কিছুই করেনি। ৩০০ আসনে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে টাকা খেয়েছে। এরপর নিজেরা নিজেরা নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজের গঠনতন্ত্র নিজেরা ভঙ্গ করছে। কারণ, তাদের গঠনতন্ত্রে আছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের নেতা হতে পারে না। এখন সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকেই দলের নেতা বানিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন এই দলের কাছে কী আশা করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী, গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা- তাদের সাথে বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে।
শুধু তাই নয় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম দেখতে বা একজন সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে, আমাকে কীভাবে অপমানটা করলো, আমার গাড়ি ওই বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দিল না, বড় গেইট বন্ধ। টেলিফোন নিয়ে সময় নেয়া হয়েছিল, আমি এইসময় আসব, তারা কি করল বড় গেইট বন্ধ করে দিল, পরে ছোট গেইটে গেলাম, আমার গাড়ি যাওয়ার পর সেটাও বন্ধ করে দিল। এতো অপমানের পর তাদের সঙ্গে কীসের বৈঠক।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার পরিষ্কার কথা, যারা এইটুকু ভদ্রতা জানে না তাদের সাথে বৈঠকের কি আছে। কেউ পারবেন বাবা-মায়ের হত্যাকারীদের সাথে এইভাবে বসে বৈঠক করতে। যেটুকু সহ্য করেছি, দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে না। ’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভাই এসে, বোন এসে আমার কাছে আকুতি করল। এরপর আমি তার সাজাটা স্থগিত করে তার বাসায় থাকা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এটুকু যে করেছি সেটাই যথেষ্ট। এতো অপমানের পর তারা যে সহানুভূতি পেয়েছে, সেটা শুধু আমার কারণে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা করে আমাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। এরপরও তাদের সাথে বৈঠকে বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে। কিন্তু তারা একের পর এক অপমান করে গেল।