অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার দুপুরে নগরীর কাচারিঘাট এলাকায় এই অভিনব প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়। ব্রহ্মপুত্র নদ রক্ষার এই কর্মসূচিতে সামাজিক সংগঠন, সংস্কৃতি কর্মী, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি জানান। তারাও হাঁটু পানিতে নেমে প্রতিবাদের চিৎকার কণ্ঠে তোলেন।
ব্রহ্মপুত্রের বুকে হাঁটু পানিতে বসানো ডাইনিং টেবিল। তাতে সাজিয়ে রাখা হরেক রকম খাবার, কিন্তু তার মধ্যে নেই তৃষ্ণা মেটানোর পানি। পাশেই একদল তরুণ গাইছে ব্রহ্মপুত্রের বিরহগাঁথা। আর সবকিছুর পেছনে বিশাল ব্যানারে লেখা ‘মৃতের চিৎকার’।
না, কোনো নাটকের চিত্রায়ন নয়। ব্রহ্মপুত্র নদ ঘিরে নিজেদের বেদনা আর ক্ষোভের কথা জানিয়ে এভাবেই প্রতিবাদ করেছেন সংস্কৃতি কর্মীরা।
নিজেদের প্রিয় ব্রহ্মপুত্র নদে দীর্ঘ চার বছর ধরে যে খননকাজ চলছে, তার মাধ্যমে নদের যৌবন ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে একে মেরে ফেলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ করেই এমন অভিনব প্রতিবাদ তাদের।
আয়োজনে অংশ নিয়ে স্থানীয় সংগঠন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার খনন প্রকল্প চলছে ব্রহ্মপুত্রে।
গত বছর মে মাসে এক সভায় প্রকল্প পরিচালক বলেছিলেন, চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে নদে বার্জ-লঞ্চ-স্টিমার চলবে। কিন্তু আমরা দেখছি ঠিক উল্টো চিত্র।
এখন অনেক স্থানে হেঁটে পার হওয়া যায়। হাঁটুরও নিচে পানি থাকে। যেখানে শুষ্ক মৌসুমেও কমপক্ষে ১০ ফুট পানি থাকার কথা, সেখানে কোথাও কোথাও ১০ ইঞ্চি পানিও নেই।