অনলাইন ডেস্ক: কাতির এই সামরিক ঘাঁটি থেকেই ২০১২ ও ২০২২ সালে সেনারা বিদ্রোহ করেন, যা দুটি সফল অভ্যুত্থানেরও জন্ম দেয়। তবে এবার সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়নি বলেই বাসিন্দাদের মনে হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গিরা মালির বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে গেলেও রাজধানীর এত কাছে কখনোই হামলা চালাতে পারেনি।
মালির রাজধানী বামাকোর বাইরে দেশটির প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে ঘণ্টাখানেক ধরে তুমুল গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার ভোরের আগে এ গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদক।
ঘাঁটিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন বাসিন্দা বলেছেন, কাতিতে অবস্থিত এ সামরিক ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা হয়েছে বলেই তারা সন্দেহ করছেন। পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটিতে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা গত এক দশক ধরেই বেশ সক্রিয়।
বৃহস্পতিবারই দেশটির সামরিক বাহিনী বামাকোর কয়েকশ কিলোমিটার উত্তরে একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের হামলায় এক সেনা ও ১৫ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে।
কাতিতে কেন গোলাগুলি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। মালির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।