ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু বাঙালির অস্তিত্ব আর চেতনায় শেখ মুজিবের নাম খোদাই হয়ে গিয়েছিল বহু আগে; তিনি যে বঙ্গবন্ধু!
পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ভাটি বাংলায় গণমানুষের মনে তাদের অবিসংবাদিত নেতার সেই স্মৃতির উদযাপন হল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দিন শুক্রবার মানুষের হৃদয়ের বঙ্গবন্ধুকে চিত্রিত করার জন্যেই সব আয়োজন সাজিয়েছিল জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থিমের এই আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ঐতিহাসিকতা ব্যাখ্যা করে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেছেন, সংহতির বার্তা নিয়ে তিনি এসেছেন।
‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসবের তৃতীয় দিন আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজাপক্ষে। অনুষ্ঠানস্থলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ঐতিহাসিক মুহূর্তে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠুক। বাংলাদেশের একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালব।”
দেশের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন যোদ্ধা এবং রাশিয়া তাকে সেভাবেই স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এই কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুকে রাশিয়ার একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে মার্চ ১৯৭২-এ বঙ্গবন্ধু মস্কো সফর করেন। ওই সময়ে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।