করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশের ন্যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চলছে কঠোর লকডাউন। সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও বাজার তদারকি করা হচ্ছে।
লকডাউন অমান্য করে অকারনে ঘোরাঘুরি করায় পথচারী ও দোকানপাট খুললে দোকানদারদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
লকডাউনের ২য় দিন (শনিবার) রাত ৯ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে বের হন বাজার তদারকিতে।
তখন পাটগাতী বাসস্টান্ডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে একটি চায়ের দোকান খোলা দেখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেদারুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান ইউএনও।
এসময় চায়ের দোকানদার আজিম শেখকে সাজার পরিবর্তে খাদ্য সামগ্রী উপহার দেন ইউএনও একেএম হেদায়েতুল ইসলাম। শুধু আজিম শেখই নয় লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলায় উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের অলিগলিতে আরো ৪টি চায়ের দোকানে দন্ডের পরিবর্তে খাদ্য সামগ্রী উপহার দেন তিনি। খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি চায়ের দোকানদারেরা।
চায়ের দোকানদার আজিম শেখ বলেন, পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়। যদি ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকতো তাহলে তো লুকোচুরি করে দোকান খুলতাম না। পাটগাঁতী বাসস্ট্যান্ডে সন্ধার পরে একটু বেচাকেনা ভালো হয়, তাই দোকান খুলেছিলাম। পরে ইউএনও স্যার দোকানে এসে জরিমানা করার বদলে খাদ্য সামগ্রী উপহার দেন ও দোকান খুলতে নিষেধ করেন। উপহারকৃত খাদ্য দিয়ে কয়েকদিন চলে যাবে।
টুঙ্গিপাড়া ইউএনও একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর অলিগলিতে চায়ের দোকানে আড্ডা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছিলাম। তাই রাতে তদারকিতে বের হয়ে ঐ চায়ের দোকানদারদের কাছ থেকে খাদ্য সংকটের কথা জেনে তাদের জরিমানার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা উপহার দেওয়া হয়।
ইউএনও আরো বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন করতে উপজেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাই লকডাউন অমান্য করে কোন চায়ের দোকান খুলে রেখে জনসমাগম করা চলবে না।
টুঙ্গিপাড়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। তাই করোনা মোকাবেলায় পূর্বেও চায়ের দোকানিদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামীতেও খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।