লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় মাকে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ০২ নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আশারকোটা গ্রামের ওয়াহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়িতে।
খবর পেয়ে পুলিশ বৃদ্ধ আমেনা বেগম (৫৭) দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ছেলে মিলন হোসেনকে আটক করেছে। মৃত আমেনা বেগম ওই বাড়ির মৃত আকবর হোসেনের স্ত্রী এবং মিলন তাদের ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আটককৃত মিলন দুই বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। দুবার তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে তাকে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে মিলন নানার বাড়ি থেকে আসেন। রাতের কোন এক সময় মিলন বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন।
পরে ফজরের আজানের সময় ঘর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে দেখতে পান বৃদ্ধ আমেনার পা ও শরীরের কিছু হাড় ছাড়া বাকি অংশ পুঁড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। পুলিশ পুঁড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নুরুল আমিন বলেন, ঘটনাটি খুবই ভয়াবহ। মিলন আগে সুস্থ ছিল। ২ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত।
অসুস্থতার কারণেই হয়তো বৃদ্ধ মাকে হত্যার পর পুঁড়িয়ে ফেলেছে। তিনি আরও জানান, মিলনের বাবা প্রবাসী ছিলেন। তিনি কয়েকবছর আগে বিদেশেই মারা যান। তার আরও দুই ছেলের মধ্যে একজন প্রবাসী ও আরেকজন ঢাকায় চাকরি করেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়ে বৃদ্ধের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। শুনেছি সে মানসিকভাবে অসুস্থ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।