অনলাইন ডেস্ক: নিজেকে জানতে হবে এবং আত্ম সমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব।
ভুলে গেলে চলবে না, এদেশ সহজে স্বাধীন হয় নাই, বহু বাঙালির মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল।
এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং একইসঙ্গে দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রতিহত করে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান ভিত্তিক, গঠনমূলক রাজনৈতিক পথ তরুণ প্রজন্মকে বেছে নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, শিশুকাল থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে আসছি আমার পরিবার থেকে। বিশেষ করে আমার দাদি-কাকাদের কাছ থেকে।
দাদি গল্প করতো তার ভাই খোকার কথা। দাদির কণ্ঠে প্রবল গর্ববোধের সঙ্গে মিশ্রণ ছিল ভাই হারা শোকের মাতন। প্রতিবার টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে আমরা যখনই গিমাডাঙ্গা স্কুল মাঠ পার হতাম দাদি বলতেন খোকা এই স্কুলে পড়তো।
আর সবসময় একই গল্প করতো, কিভাবে খোকা তার ছাতা, বই স্যান্ডেল ও গায়ের চাদর বিলিয়ে দিয়ে স্কুল থেকে ফিরে আসতো বহুবার।
দাদিরা গর্বভরা কণ্ঠে এই কাহিনীগুলো শুনতে আমার মনে হত আমি যেন রূপকথার এক মহানায়কের গল্প শুনছি। আমার শিশু মনে প্রশ্ন জাগত, কিভাবে সম্ভব।
কিভাবে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু হলেন? কিভাবে তিনি পারলেন আমাদের রূপকথার মহানায়ক হতে? কোথায় পেলেন তিনি তার মানবিকতা? তার চারিত্রিক দৃঢ়তা?
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং শুধু দেশপ্রেমী নয়, বাঙালি সংস্কৃতি ও ইতিহাসের অনুরাগীও হতে হবে।
শুধু আবেগ নির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। একইসঙ্গে বাঙালি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে।