অনলাইন ডেস্ক: ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইনটি নির্মাণের আনুমানিক খরচ ৩৭৭ কোটি রুপি।
বাংলাদেশ অংশে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৮৫ কোটি রুপি। ভারত সরকার থেকে এ আর্থিক সহায়তা বহন করা হয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পাইপলাইনটি বিস্তৃত।
বার্ষিক ১ মিলিয়ন টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে এ পাইপলাইনের। এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রাথমিকভাবে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহ করবে।
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কার্যক্রম ভারত থেকে বাংলাদেশে হাই-স্পিড ডিজেল পরিবহন টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও পরিবেশ-বান্ধব করবে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা আরও বাড়বে।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য ২০১৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
উত্তরের ১৬ জেলায় নিরিবিচ্ছন্নভাবে ডিজেল সরবরাহ ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল (ডিজেল) আমদানির রিসিভ টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করবেন আজ শনিবার (১৮ মার্চ)। অনুষ্ঠানটির জন্য বিকেল ৫টা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।