অনলাইন ডেস্ক: এরই মধ্যে ৭ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করে ফেলেছি, আমাদের লক্ষ্য ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ। সরকার দেড়শ কোটি টাকা ব্যায়ে যে টার্মিনাল তৈরি করেছে তা ধরে রাখার জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিওটিআইয়ের চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা প্রমুখ।
নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর প্রবাহ নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। এর মধ্যে যমুনা ও তিস্তা নিয়ে কথা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে নদীর নাব্যতা ফিরে আসবে। নাব্যতা ফিরে আসলেই নৌ চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না।
উল্লেখ্য, নাব্য সংকটের কারণে ২০০০ সালে বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও বন্ধ হওয়ার শঙ্কা নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো নৌরুটটি।
প্রতিমন্ত্রী বেলা ১১টায় প্রথমে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে উদ্বোধন করেন বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে লঞ্চ সার্ভিস।
উদ্বোধন শেষে নৌপথে তিনি গাইবান্ধার বালাসীঘাট যান। সেখানেও বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে লঞ্চ সার্ভিস ও বালাসী নৌ টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৮ সালে তিস্তামুখ ঘাট-বাহাদুরাবাদ নৌরুট চালু করে। এপারে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ ঘাট, ওপারে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট।
তখন থেকে এই রুটের মাধ্যমে ঢাকা-দিনাজপুর রেল যোগাযোগ চালু ছিল। উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলার মানুষ ট্রেনে করে তিস্তামুখ ঘাটে যেতেন। এরপর তিস্তামুখ ঘাট-বাহাদুরাবাদ রুটে ফেরি পারাপার হতেন।
ওপারে বাহাদুরাবাদে গিয়ে ট্রেনে উঠে ঢাকায় যেতেন। সে সময় এ রুট দিয়ে কম খরচে ও নিরাপদে ঢাকায় যাতায়াত করা যেত।
১৯৯০ সালে নদীর নাব্য সংকটের কারণে তিস্তামুখ ঘাটটি একই উপজেলার বালাসীতে স্থানান্তর করা হয়। এ জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিমোহিনী থেকে বালাসী পর্যন্ত নতুন প্রায় ৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়।
তখন বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটের মাধ্যমে একইভাবে রেল যোগাযোগব্যবস্থা চালু ছিল। তৎকালীন বালাসীঘাটে রেলওয়ের নানা ধরনের কমপক্ষে ৩০টি নৌযান ছিল। ২০১৫ সালের পর থেকে এসব নৌযান বিক্রি শুরু হয়।
বর্তমানে এখানে রেলের প্রায় ১১টি নৌযান আছে। অবশিষ্ট নৌযানগুলো বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে এসব বিক্রি করা হচ্ছে।