হিলি স্থল বন্দর দিয়ে সাড়ে ৫ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বোঝায় একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
হিলি স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানি-কারক এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন এই তথ্য মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার গত বছর ডিসেম্বর মাসে তাদের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তারপর থেকে গত সাড়ে ৫ মাস দেশের কোন স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি।
হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স আর এস বি ট্রের্ডাস এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। পেঁয়াজ আমদানি কারকের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা গত ৪ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় নানা জল্পনা কল্পনা শেষে ১১ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের দাম কোরবানির ঈদে বাড়বে না বলে জানান তিনি।
আমদানি-রপ্তানি কারক এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে নির্বাচন শুরু হয়।ওই রাষ্ট্রের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত প্ঁেয়াজ বাংলাদেশ রপ্তানি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। সম্প্রতি তাদের চলমান নির্বাচনে কৃষকদের পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন ভারত সরকার। সে কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি প্রথম চালান গতকাল মঙ্গলবার রাতে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে।
পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করায় গতকাল রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মজুদদার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে গেছে। তারা খোঁজ খবর নিচ্ছে ভারত থেকে কি পরিমান পেঁয়াজ দেশে আমদানি করা হবে। আগামী ঈদুল আযহার ঈদে তাদের মজুদ করা পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য তারা মজুদ করে রেখেছিল। তারা জেনে গেছে আজ বুধবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ জামদানি করার জন্য হিলি স্থলবন্দরে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এল সি খুলে আদানীর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে।