টাকার পাগল নুসরাত জাহান তানিয়া। টাকা ছাড়া যেন কিছুই বোঝেন না তিনি। নুসরাত টাকার জন্য দেহব্যবসা থেকে শুরু করে মানুষকে জিম্মি, প্রতারণা কোন কিছুই বাদ দেননি।
নুসরাতের লোভের বলি হয়েছে ছোট বোন মোসারাত জাহান মুনিয়া। অল্প সময়ের মধ্যে নুসরাতের কোটিপতি বনে যাওয়ার নেশার কাছে হার মানে ছোট বোন মুনিয়া। নিরুপায় হয়ে গুলশানের ভাড়া বাসায় মুনিয়া বেছে নিয়েছিলেন আত্মহত্যার পথ।
পুলিশ এবং সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এমনই তথ্য বেরিয়ে আসলেও এই নুসরাতের বিষয়ে আরও ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে ইতালি প্রবাসী এক যুবকের মুখ থেকে।
যিনি নুসরাতের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে হারিয়েছেন প্রবাসে কষ্টার্জিত উপার্জনের ৫০ লাখ টাকা। নুসরাত টাকার নেশায় অন্ধ হয়ে ছোট বোন মুনিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইতালি প্রবাসীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের ওই টাকা। কিন্তু বোনকে প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া তো দূরের কথা-উল্টো হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে দিয়ে মামলা এবং প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বিতারিত করেছেন।
সম্প্রতি মুখ খুলেছেন নুসরাতের প্রতারণার শিকার কিশোরগঞ্জের করিমপুর উপজেলার ইতালি প্রবাসী সানোয়ার হোসেন (ছদ্মনাম)। নুসরাতকে ভয়ংকর প্রতারক হিসেবে তুলে ধরে ইতালি প্রবাসী সানোয়ার হোসেন জানান, ২০১১ সালে লিবিয়া হয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইতালির ভ্যানিস শহরে। সেখানেই বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ছবি আকাঁর কাজ করতেন।
২০১৯ সালের শুরুতেই ফেসবুকেই পরিচয় হয় নুসরাতের সঙ্গে। আর নুসরাত নিজের বোন মুনিয়ার ছবি দেখায় এবং বেশ কয়েক মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনার কথা বলে তিন কিস্তিতে ৫০ লাখ টাকাও নেয় নুসরাত। কিন্তু সানোয়ারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না কিনে পুরো টাকাই আত্মসাত করেছেন নুসরাত জাহান তানিয়া ও তার স্বামী মিজানুর রহমান।
শুধু তাই নয় টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে নুসরাতের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত হুইপপুত্র শারুন চৌধুরী তার ক্যাডার বাহিনীর একের পর এক একাধিক মামলাসহ প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে প্রবাসী সানোয়ার হোসেনকে। সানোয়ার হোসেন ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে বলেন,‘ নুসরাত একজন ভয়ংকর প্রতারক।
নিজের সুন্দরী বোনকে বিয়ে কথা বলে আমার কাছ থেকে প্রতি মাসেই মোটা অংকের টাকা নিতো। মুনিয়ার সঙ্গে অ্যাপসের মাধ্যমে অনেক বার কথাও হয়েছে। বিয়ের আগে ঢাকার বাড্ডায় ফ্ল্যাট কেনার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু বিয়ের কথা বলতেই উল্টো আমাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে হুইপের পুত্র শারুনের ক্যাডার বাহিনী।
নুসরাত আমাকে জানায় টাকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জীবন থেকেই সরিয়ে দেয়া হবে। শারুন ও নুসরাতের এমন হুমকি পেয়ে আর লোকলজ্জার ভয়ে আর টাকার কথা কাউকে বলিনি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘ প্রবাসে অনেক কষ্ট করে টাকাগুলো উপার্জন করলেও মুহুর্তেই সুন্দরী বোনকে বিয়ে দিবে বলে হাতিয়ে নেয়। এইসব নুসরাতের প্রতারক মেয়েদের পাল্লায় পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার