বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে বুয়েটে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ নেতাকর্মীরা।
বর্তমানে বুয়েট ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করতে দেখা গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ক্যাম্পাসে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের আনা-গোনাও।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা শপথ করেন, বুয়েটকে সব রাজনৈতিক ও নিষিদ্ধ সংগঠন থেকে মুক্ত রাখা হবে। ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছেন। এবং দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় বুয়েট উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকার মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ছাত্র রাজনীতিকে ঘিরে হঠাৎ করে অশান্ত হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে গত শুক্রবার থেকে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্র রাজনীতের চালুর পক্ষে পাল্টা অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ।