বিডিনিউজ ডেস্ক: সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব- বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
সোমবার (৮ নভেম্বর) ‘গণপ্রকৌশল দিবস’ উপলক্ষে রোববার (৭ নভেম্বর) দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, মেট্রোরেল প্রকল্প, একাধিক চারলেন সড়ক নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, পাতাল রেল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ, শতাধিক অর্থনৈতিক জোন স্থাপনসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার মহাসড়কে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে আইডিইবি’র সদস্য প্রকৌশলীগণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ড. কুদরত এ খুদা শিক্ষা কমিশনকে জাতীয় শিক্ষা দর্শনের রূপরেখার পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, বৃটিশ ঔপনিবেশিক শিক্ষা দর্শন অনুযায়ী শিক্ষার জন্য শিক্ষা নয় বা কেরানি সৃষ্টি বা আজ্ঞাবহ সৃষ্টির জন্য নয়। আমি চাই আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষা ব্যবস্থা।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে কারিগরি শিক্ষাকে মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে এ শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। দেশে নতুন নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে।
‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২১’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। দিবসটি উপলক্ষে শেখ হাসিনা দেশের সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বাণীতে তিনি ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২১’ এবং ‘আইডিইবি’র ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।